ঢাকাWednesday , 21 April 2021
  • অন্যান্য
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও ন্যায়
  4. খেলা ধুলা
  5. জীবন যাপন
  6. টাকা বা ডলারের মান হ্রাস বা বৃদ্ধি
  7. ট্রাফিক সার্জেন্টে
  8. ধর্মীয় রীতিনীতি
  9. পার্ক
  10. প্রশাসন
  11. বিনোদন
  12. বিলাসী
  13. বিসিএস
  14. মামলা
  15. মোবাইল ফোন কোম্পনি

রক্তের RH ফ্যাক্টর কি

DN BANGLA
April 21, 2021 12:19 pm
Link Copied!

রক্তে প্রধানত দুটি উপাদান থাকে এন্টিবডি এবং এন্টিজেন আর এই এন্টিজেনকে Rh ফ্যাক্টর বলে।

#New_Classic_Event_Management

মানুষের শরীরে রক্তের গ্রুপ দুটি প্রক্রিয়ায় নির্ণীত হয়ে থাকে। প্রথমটিকে বলা হয় ABO System. যা মূলত রক্তের গ্রুপ যেমন : A, B, AB, O। দ্বিতীয়টি হল Rh factor বা রেসাস ফ্যাক্টর । এখানে দুটি ভাগ রয়েছে Rh+ বা আর এইচ পজেটিভ এবং Rh- বা আর এইচ নেগেটিভ। রক্তের ABO System এর সাথে রেসাস ফ্যাক্টর যুক্ত হয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ণীত হয়। অর্থাৎ এর মাধ্যমেই রক্তের গ্রুপ পজেটিভ নেগেটিভ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এক ব্যক্তির রক্ত অন্য একটি গ্রুপের ব্যক্তির শরীরে গেলে প্রাথমিকভাবে শরীরে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। এরপরে আবার যখন ব্যক্তিটির শরীরে অন্য গ্রপের রক্ত প্রবেশ করে তাহলে ভয়াবহ কিছু হতে পারে। এতে রক্তের রক্ত কোষ ভেঙ্গে ব্যক্তিটির মৃত্যুও হতে পারে। একে বলা হয় ABO Incompatibility। তাই কারও রক্ত যদি পজিটিভ হয়ে থাকে তবে তাকে পজিটিভ রক্তই দেয়া হয় আর নেগেটিভ হলে নেগেটিভ রক্ত দেয়া হয় ।

স্বামী স্ত্রীর রক্ত কেমন হওয়া উচিত : স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ নেগেটিভ যেকোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তবে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ অবশ্যই পজেটিভ হতে হবে। রক্তের গ্রুপ এক হলে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে : স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ আর স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে শরীরে লিথাল জিন বা মারণ জিন নামে একটি জিন তৈরি হয় যা তাদের মিলনে সৃষ্টি জাইগোটকে মেরে ফেলে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ হলে সন্তানের রক্তের গ্রুপও পজিটিভ হয়ে থাকে। স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ আর স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয়ে থাকলে স্ত্রী পজেটিভ গ্রুপের একটি ফিটাস বা ভ্রুণ ধারণ করে থাকে। ডেলিভারীর সময়ে পজেটিভ ফিটাসের ব্লাড, প্লাসেন্টাল ব্যারিয়ার বা ভ্রুণফুল displacement ঘটবে। এর ফলে স্ত্রীর শরীরে নতুন ব্লাড গ্রুপের একটি আর এইচ এন্টিবডি তৈরি হবে। এটি প্রথম সন্তানের জন্মের সময়ে কোনো সমস্যা তৈরি করবে না। কিন্তু দ্বিতীয়বার সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পূর্বের সন্তান জন্মের সময়ে তৈরি হওয়া আরএইচ এন্টিবডি শরীরের ভ্রুণের প্লাসেন্টাল ব্যারিয়ারকে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। এর ফলে দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কিংবা মৃত সন্তানের জন্ম হতে পারে। একে মেডিকেলের ভাষায় আরএইচ incompaltibity বলা হয়। এর প্রতিকারের জন্য Rh- মাকে Anti-D নামে একটি ইনজেকশন নিতে হবে রুটিনমাফিক, প্রথম বাচ্চা জন্মের পরপরই অথবা প্রথমবার গর্ভপাতের পরে। এই Anti-D মা’র রক্তে উপস্থিত Rh+ রক্তকোষকে ধ্বংস করে, যাতে এগুলো আর কোন এ্যান্টিবডি তৈরি করতে না পারে। কোন কোন সময়ে এটা গর্ভকালীন সময়েও দেয়া হয়ে থাকে, সাধারণত ২৪তম থেকে ৩৬তম সপ্তাহের মধ্যে।

Body Mass Index (BMI) (বডি মাস ইনডেক্স) কি ?

BMI এর পূর্নরুপ হল Body Mass Index । একজন মানুষের ওজন এবং তার উচ্চতার বর্গের অনুপাতকে BMI (বিএমআই) বলে। এটি একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা (ওজন স্বল্পতা, স্বাভাবিক ওজন কিংবা স্থূলতা) নির্দেশ করে। উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন অর্জন করার জন্য কি পরিমান ওজন বাড়াতে কিংবা কমাতে হবে তা বিএমআই এর মাধ্যামে খুব সহজেই জানা যায় ।

প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু উভয়ের BMI একই প্রক্রিয়ায় পরিমাপ করা হয়। এটি নির্ণয় করার জন্য SI এবং FPS উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। SI পদ্ধতিতে পরিমাপের ক্ষেত্রে ওজনের একক কিলোগ্রাম (kg) এবং উচ্চতার একক মিটার (m) ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে FPS পদ্ধতিতে পরিমাপের ক্ষেত্রে ওজনের একক পাউন্ড (lb) এবং উচ্চতার একক ইঞ্চি (inch) ব্যবহার করতে হবে।

যেমনঃ ওজন = ৭০ কেজি, উচ্চতা = ১.৭ মিটার হলে BMI হবে –

সুতরাং, BMI = {৭০ ÷ (১.৭ × ১.৭)} = ২৪.২

BMI যদি ১৮.৫ এর নিচে হয় তাহলে ওজনহীনতা বা ওজন স্বল্পতা, ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে BMI তাকে স্বাভাবিক ওজন এবং BMI যদি ২৫.০ থেকে ৩০ বা তারও বেশি হয় তবে তাকে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় বলা হয় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares

বিনা অনুমতিতে ডিএন বাংলা অনলাইনের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

প্রযুক্তি সহায়তায়: মুশান্না কম্পিউটার আইটি